1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৩ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে৷ ধারাবাহিক গ্রেপ্তার অভিযানের পরও তাদের থামানো যাচ্ছে না৷ বিভিন্ন ঘটনায় কিশোর গ্যাং-এর নেপথ্যে প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে৷

https://p.dw.com/p/4ejA8
চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল আরোহী একটি দলকে পুলিশের তল্লাশি
আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহরে ২০০ কিশোর গ্যাং সক্রিয়ছবি: Bangla Tribune/Humayun Masud

বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আধুনিক প্রযুক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক কারণ ছাড়াও কিশোর গ্যাং-এর বিস্তারের পেছনের গডফাদাররাও দায়ী৷ তারা এই কিশোরদের চাঁদাবাজি, জমি দখল, প্রভাব বিস্তার ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে কাজে লাগান এবং অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করেন৷ পুলিশের হাতে ধরা পড়লে জামিনে ছাড়িয়ে আনেন৷ চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং-এর হাতে এক চিকিৎসক নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের মদদদাতা হিসেবে ছাত্রলীগ নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং-এর গডফাদার ছাত্রলীগ নেতা

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং-এর হাত থেকে নিজের ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গত ১০ এপ্রিল হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চিকিৎসক কোরবান আলী৷ গত ৫ এপ্রিল বিকালে চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকার পশ্চিম ফিরোশাহ হাউজিং-এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তার ছেলে আলী রেজা৷ তিনি তখন দেখেন দুই স্কুল ছাত্রকে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা মারধর করছেন৷ মারধরের শিকার দুই স্কুল ছাত্র তাকে দেখে সহায়তা চান৷ তখন তিনি ওই স্কুল ছাত্রদের বাঁচাতে পুলিশের ৯৯৯-এ ফোন করেন৷ ফোন পেয়ে পুলিশ এসে একজনকে ধরে নিয়ে যায়৷ ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি (আলী রেজা)  ইফতারি কিনতে বাসা থেকে বের হন৷ তখন কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়৷ ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে তাকে রক্ষা করতে ছুটে যান তার বাবা দন্ত চিকিৎক কোরবান আলী৷ তখন কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা তার ওপরও হামলা চালায়৷ তারা ওই চিকিৎসকের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ হাসপাতালে নেয়ার পর আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়৷ ১০ এপ্রিল তিনি মারা যান৷

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে জানা গেছে৷ হামলার পর ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশান ও কিশোর গ্যাং-এর ১১ সদস্যকে আসামি করে মামলা হয়েছে৷ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাস রাব্বানী ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করেছি৷ ছাত্রলীগ নেতাকে এখানো আটক করতে পারিনি৷ মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রলীগ নেতা নিশান এই গ্রুপটি পরিচালনা করতেন৷ গ্রুপটির মাধ্যমে সে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নানা অপরাধ করাতো বলে আমরা তথ্য পেয়েছি৷’’

এদিকে নিহত কোরবান আলীর ছেলে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলী রেজা জানান, ‘‘যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তারা মূল আসামি নয়৷ মূল আসামি ছাত্রলীগ নেতা নিশানসহ অন্যরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি৷’’

মূল আসামি ছাত্রলীগ নেতা নিশানসহ অন্যরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি: আলী রেজা

তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘হামলার পর ওই দিন রাতে আমি যখন থানায় মামলা করতে যাই তখন ছাত্রলীগ নেতা নিশানও থানায় ছিলো৷ কিন্তু পুলিশ তাকে তখন আটক করেনি৷ আমার মনে হয় আমি বাবা হত্যার ন্যায়বিচার পাব না৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রলীগ নেতা নিশান এলাকায় গত ৫-৮ বছর ধরে কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে আসছে৷ ওই কিশোরদের দিয়ে সে মাদক-ব্যবসা, চাাঁদাবাজি, দখলসহ নানা অপকর্ম করিয়ে আসছে৷ তার পরিবার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতো না৷’’

আলী রেজা জানান তারা দুই ভাই, এক বোন৷ মা ক্যানসার আক্রান্ত৷ বাবাকে হত্যার পর এখন অসহায় অবস্থায় পড়েছে পরিবারটি৷

কিশোর গ্যাং ‘বড় ভাই'

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একজন কর্মাকর্তা জানান, সম্প্রতি  পুলিশ ও র‍‍্যাব চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের একটি তালিকা করেছে৷ তাদের তালিকা মতে চট্টগ্রাম শহরে ২০০ কিশোর গ্যাং সক্রিয়৷ এসব দলে পাঁচ থেকে ২০ জনের সদস্য আছে৷ কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতারা৷ আছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা৷ তারা চট্টগ্রাম শহরে কিশোর গ্যাং-এর এমন ৬৪ জন ‘বড় ভাই' চিহ্নিত করেছেন৷

পুলিশ ঢাকায় কমপক্ষে ৮০টি বড় ধরনের কিশোর গ্যাং থাকার কথা বলছে৷ এছাড়া আরো ছোটোখাটো অনেক কিশোর গ্যাং আছে৷ ঢাকার কমপক্ষে ২১ জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং-কে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগ আছে৷

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘‘তাদের যারা ব্যবহার করে তারাই নতুন নতুন গ্রুপ তৈরি করে৷ এক গ্রুপ আটক হলে আরেক গ্রুপের জন্ম হয়৷'' তিনি বলেন, ‘‘শুরুতে কিশোর গ্যাং ধনীদের কিশোর সন্তানরা ফ্যান্টাসি থেকে তৈরি করতো৷ এখন এটা সব পর্যায়ে৷ আমরা এখন কিশোর ছিনতাইকারী গ্রুপও পাচ্ছি৷’’

২০২২ সালের শুরুর দিকে সারাদেশের কিশোর গ্যাং নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলো৷ তাতে সারাদেশে কমপক্ষে ১৭৩টি কিশোর গ্যাং-এর কথা বলা হয়েছিলো৷ বিভিন্ন অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে মামলা হয় ৭৮০টি৷ এসব মামলায় আসামি প্রায় ৯০০ জন৷ তখন রাজধানী ঢাকায় কিশোর গ্যাং ছিল ৬৬টি, চট্টগ্রামে ৫৭টি৷ মহানগরের বাইরে ঢাকা বিভাগে ২৪টি গ্যাং৷ বেশির ভাগ বাহিনীর সদস্য ১০ থেকে ৫০ জন৷ তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত দুই বছরে কিশোর গ্যাং-এর সংখ্যা সারাদেশে দুই গুণেরও বেশি হয়েছে৷

কিশোর গ্যাং-এর নৃশংসতার উদাহরণ চট্টগ্রামের চিকিৎসককে হত্যা৷ কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা ঢাকাসহ সারাদেশে হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে৷ পুলিশের হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে শুধু রাজধানী ঢাকায় কিশোর গ্যাং-এর হাতে ২৫ জন নিহত হয়েছেন৷ ২০২২-২৩ দুই বছরে তাদের হাতে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মাহানগর গোয়েন্দা বিভাগ৷

ঢাকার অদূরে সাভারের আরাপাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় ১২ এপ্রিল রাতে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক রং মিস্ত্রিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে কিশোর গ্যং-এর সদস্যরা৷ তিনি ওই এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর সদস্যদের আড্ডা দিতে বারণ করেছিলেন৷ এটা নিয়ে কথা কাটাকটি হওয়ায় কিশোর গ্যাং-এর এক সদস্যকে চড় মারেন সাজ্জাদ৷ এরপর তারা সেখান থেকে চলে গিয়ে দল ভারি করে ফিরে এসে সাজ্জাদকে হত্যা করে৷ জানা গেছে, ওই কিশোররা স্থানীয় একজন যুবলীগ নেতার অনুসারী৷

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুর জেলার শ্রীবরদি এলাকায় বিপ্লব হাসান নামে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা করে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা৷ কথা কটাকাটির জের ধরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷

গত ২৩ ফেব্রুয়ায়ারি ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মোহাম্মদ রাব্বী নামে একজন কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যা করে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা৷ কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা তার জুনিয়র হওয়ায় তাদের গুরুত্ব না দেয়ায় রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ৷

গত বছরের ২৪ আগস্ট ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে রাফসান নামে ১৭ বছরের এর কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়৷ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তখন আরেক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পুলিশ জানিয়েছে, সিগারেট খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে৷

ওই বছরের ১৭ মে ঢাকার মিরপুরে এক স্কুল ছাত্রকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা৷ কিশোর গ্যাং-এ যুক্ত হতে না চাওয়ায় সিয়াম (১৪) নামের ওই কিশোরকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ তখন জানায়৷ নিহত কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, ওই কিশোর গ্যাং-এর পেছনে প্রভাবশালীরা জড়িত৷ পুলিশ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা নিলেও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি৷

সমস্যা কোথায়?

পুলিশ জানায় প্রায় ১৬ বছর আগে ঢাকার উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর তৎপরতা প্রথম নজরে আসে৷ এরপর তা আর থামেনি৷ সেই কিশোর গ্যাং এখন ঢাকাসহ সারাদেশে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে৷ হত্যা থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যাতে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা জড়িত নয়৷ তাদের এই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে৷ 

সমাজের প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী কিশোরদের ব্যবহার করছে: শেখ হাফিজুর রহমান

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একজন কর্মকর্তা জানান, ‘‘কিশোর গ্যাংগুলোর নেপথ্যে আছে প্রভাবশালীরা৷ বিশেষত রাজনৈতিক নেতা এবং হোয়াইট কলার ক্রিমিন্যালরা কিশোর গ্যাং-এর নেপথ্যে থাকে৷ তারা তাদের রাজনৈতিক শো-ডাউন থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে এইসব গ্যাংকে কাজে লাগায়৷ অস্ত্র দেয়, অর্থ দেয়৷ ফলে গ্যাং-এর সদস্যরাও নিজেদের ক্ষমতাধর মনে করে এবং কাউকে পরোয়া করতে চায় না৷ জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধে৷’’

ডিএমপি গত দুই মাসে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং-এর কমপক্ষে ২০০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে৷ গত মার্চ মাসে দুই দিনের ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে তারা৷ তারপর তাদের সংখ্যা কমছে না৷নতুন নতুন গ্রুপ তৈরি হচ্ছে৷

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা তো চেষ্টা করছি৷ কিন্তু আইন প্রয়োগ তো সর্বশেষ স্তর৷ শুধু আইন প্রয়োগ করে এই কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না৷ এখানে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে৷ আমাদের নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে৷ এই সময়ে কিশোরার অনলাইনে অনেক কিছু দেখে৷ ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠিত হয়৷ তাদের খেলার মাঠ নাই, বিনোদনের ব্যবস্থা নাই৷এগুলো দেখতে হবে৷আর দেশের ছয়টি কিশোর সংশোধানাগারে এক হাজার  ১০০ কিশোরকে জায়গা দেয়া যায়৷ কিন্তু দেশে ওই বয়সের ছেলে-মেয়ে আছে সাড়ে চার কোটি৷’’

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘একটি মহল এই কিশোরদের ব্যবহার করছে সত্য৷ কিন্তু তাদের আইনের আওতায় আনা প্রচলিত আইনে বেশ কঠিন৷ কারণ তাদের জড়িত থাকা তো আদালতে প্রমাণ করতে হবে৷’’

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং কিশোর অপরাধ বিষয়ক গবেষক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘কিশোরদের নানা অপরাধে কাজে লাগানো সহজ৷ ফলে সমাজের প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী বিশেষ করে কাউন্সিলর, নির্বাচিত জন প্রতিনিধি তাদের ব্যবহার করছে৷ কারণ ভাড়াটে অপরাধী ব্যবহার করা অনেক খরচের ব্যাপার৷’’

তবে তিনি মনে করেন, ‘‘কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সমাজ ও পরিবার থেকে কাজ করতে হবে৷এর মূল অনেক গভীরে৷ বিশেষ করে এখন যে ডিজিটাল যুগ তাতে আমাদের অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করার আছে৷’’

পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে বাংলাদেশের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কিশোর গ্যাং নিয়ে কথা বলেছেন৷ গত ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোর গ্যাং মোকাবিলার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে সবাইকে যুক্ত হতে বলেছেন৷ তিনি বলেছেন, অন্য অপরাধীদের মতো নয়, তাদের (কিশোর গ্যাং) ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে৷ কিশোর অপরাধীরা যেন সংশোধনের সুযোগ পায় সেজন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য