1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মমতার চারপাশে দুর্বৃত্ত, বললেন বিচারপতি

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

এসএসসি মামলা নিয়ে এক বিচারপতি বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে দুবৃত্ত। অন্যজনের মতে, সিবিআই ঠিকভাবে তদন্ত করছে না।

https://p.dw.com/p/4N3JH
ছবি: Subrata Goswami/DW

এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ রীতিমতো আলোড়ন তুলে দিয়েছে। প্রথম পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী একা সব সামলাতে পারছেন না। এত দুবৃত্ত চারপাশে থাকলে সামলাবেন কী করে?''

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেছেন সাবেক মন্ত্রী মানিক ভট্টাচার্যের কাছে দুইটি পাসপোর্ট থাকা প্রসঙ্গে। সিবিআই আদালতে জানায়, মানিকের কাছে দুইটি পাসপোর্ট আছে। 

আর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ হলো, সিবিআই ইচ্ছে করে তদন্তে দেরি করছে। তার নির্দেশ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিদের সুযোগ দিতে হবে। 

বিচারপতি যা বলেছেন

সিবিআই জানিয়েছিল, মানিক ভট্টাচার্যের দুইটি পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কী করে এই ঘটনা ঘটলো? তারপরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে ওই মন্তব্য করেন।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: Subrata Goswami/DW

বিচারপতি বলেন, ''লজ্জার বিষয় যে মানিক ভট্টাচার্য এখনো বিধায়ক পদ থকে ইস্তফা দেননি। ছাড়া পেলে তিনি আবার এই সব কাজ শুরু করে দেবেন।''

বিচারপতির প্রশ্ন, ''লন্ডনে মানিক ভট্টাচার্য কতবার গিয়েছেন? সেখানে কোথায় থাকেন? সেই সব খবর সিবিআই জানে কি? আমি এসব তথ্যই জানি।‘লন্ডনে মানিকের বাড়ির পাশে আরো একজন রাজনৈতিক নেতার বাড়ি আছে।''' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছেন, ''পশ্চিমবঙ্গ কি এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে? ‘ভূপেন হাজারিকার গান আছে, হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে, এটাই হবে?'

বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ

শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে সিবিআই সিলবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট দেয়। কিন্তু সেই রিপোর্টে বিচারপতি খুশি হননি। তিনি বলেন, ‘‘ সিবিআই হলো দেশের অন্যতম প্রধান তদন্তকারী সংস্থা। তাদের এমন ভুল করা উচিত নয়। সিবিআইয়ের রিপোর্টে যা আছে, তার থেকে আইনজীবীর কাছে থাকা রিপোর্টে অনেক বেশি তথ্য আছে। এটা কী করে সম্ভব?''

বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘আপনাদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। কাগজপত্র-সহ সমস্ত তথ্য তিন বার যাচাই করে পাঠানো উচিত।'' সিবিআইকে আবার রিপোর্ট দিতে বলেছেন তিনি।

এসএসসি-কেও বিচারপতি বলেছেন, ‘‘আদালত কি সব দায়িত্ব নেবে? আপনারা যে যুক্তি দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে কেউ ঠকিয়ে চলে গেলেও, আপনারা চুপ করে থাকবেন। এত ভয় কেন? যা হয়েছে, মুছে এগিয়ে চলুন। নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? এসএসসি-রচেয়ারম্যানকে বলুন, অযোগ্যদের বরখাস্ত করে যোগ্যদের চাকরি দিতে।''

দুই বিচারপতির এহেন সোজাসাপটা মন্তব্যে রীতিমতো আলোড়ন দেখা দিয়েছে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, টিভি৯)