1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

বড় বাজেট, বড় ঘাটতি

১ জুন ২০২৩

নির্বাচনী বছরে সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ৷ অবশ্য এর বড় একটি অংশে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে যোগান দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের৷

https://p.dw.com/p/4S39S
অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়-ব্যায়ের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন৷ (ফাইল ছবি)
অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়-ব্যায়ের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন৷ (ফাইল ছবি)ছবি: Xinhua News Agency/picture alliance

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়-ব্যায়ের পরিকল্পনা উপস্থাপন করছেন৷ বাজেটের প্রকাশিত দলিল অনুযায়ী, আসছে অর্থবছরে সরকার মোট সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ব্যয় করবে৷ এর মধ্যে রাজস্ব ও বিদেশি অনুদান থেকে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা আসবে বলে অনুমাণ করছে সরকার৷ বাকি ৩৩ শতাংশ মেটানো হবে দেশি বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে৷ জিডিপির অনুপাতে ঘাটতির হার দাঁড়াচ্ছে পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ৷

বাড়ছে বহর

চলতি অর্থবছরে সরকার ছয় লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল৷ সেই হিসেবে আসছে বাজেট ১২ ভাগ বড় হচ্ছে৷ কিন্তু অন্য বছরের ধারাবাহিকতায় বিদায়ী অর্থবছরেও ঘোষিত বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না৷ সংশোধন করে তা নামিয়ে আনা হয়েছে ছয় লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটিতে৷ সেই হিসেবে নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ১৫ দশমিক তিন শতাংশ৷

করের বোঝা

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা৷ যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি৷ তবে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার বড় একটি অংশই আদায় না হওয়ার শঙ্কা থাকছে৷ কেননা চার লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মার্চ পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র দুই লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা৷ সেক্ষেত্রে নতুন অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্চ৷

 

ঋণ নির্ভরতা

বাজেটে আকার বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঋণের বহরও৷ এর মধ্যে নিট এক লাখ দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা সরকার ঋণ নিতে চায় বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে৷ যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা বেশি৷ বাকি এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা নেয়া হবে দেশের ভিতরের বিভিন্ন খাত থেকে৷ এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ গত বছর প্রস্তাবিত বাজেটে এক লাখ ছয় ৩৩৪ কোটি টাকা নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বছর শেষে তা বাড়িয়ে এক লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা করা হয়েছে৷ অর্থাৎ, আগামী অর্থবছরে এর চেয়েও প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বেশি নিতে চায় সরকার৷ যদিও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এত ঋণ নিলে তা বিনিয়োগ ও মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা৷ 

প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা

‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’, বাজেট বক্তৃতার এমন শিরোনাম দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে সাত শতাংশ৷ সেই সঙ্গে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশে আটকে রাখা যাবে বলেও প্রত্যাশা করা হয়েছে৷ সাময়িক হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার সোয়া ছয় শতাংশ আর গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে সাত শতাংশ বলে বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে৷

 এফএস/কেএম