1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেট পাশ করেছেন মমতা-শাহ

১৫ নভেম্বর ২০২২

২০১৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষেরা সত্যিই টেট পাশ করেছেন বলে দাবি করেছে পর্ষদ।

https://p.dw.com/p/4JWef
টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন
ছবি: Satyajit Shaw /DW

২০১৪ সালে টেট পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের একটি নামের তালিকা প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানে এক লাখ ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর নাম প্রকাশিত হয়েছে। একসঙ্গে এই প্রথম সকলের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশেই একাজ করতে হয়েছে পর্ষদকে। পর্ষদ প্রকাশিত সেই তালিকা দেখে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ, তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ, কুণাল ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার-সহ একাধিক রাজনীতিবিদের নাম আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি নেতা, সুকান্ত মজুমদার রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি, দিলীপ ঘোষ সাবেক সভাপতি। প্রশ্ন উঠছে, কী করে এই ব্যক্তিদের নাম টেটের তালিকায় এলো?

গত কিছুদিন ধরেই এ নিয়ে বিতর্ক চলছিল। সোমবার পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, সত্যি সত্যিই এই নামের ব্যক্তিরা ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। প্রত্যেকের পরিচয় খতিয়ে দেখা হয়েছে। মিলিয়ে দেখা হয়েছে তাদের বাবার নামও। বোঝাই যাচ্ছে, তারা সকলেই নেতা-মন্ত্রীদের সমনামী।

সকলের নাম ধরে নাম বললেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত শাহদের নাম উল্লেখ করে এই দাবি করেছেন গৌতম। বস্তুত, আদালতের নির্দেশে গত সপ্তাহেই এক লাখ ২৫ হাজার টেট প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। তাদের নতুন করে ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল। সোমবারই তার সময়সীমা শেষ হয়েছে। সোমবারই অবশ্য আদালত ওই সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।

আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তার নতুন করে আর ইন্টারভিউ দেবেন না। তাদের সরাসরি চাকরি দিতে হবে। কারণ, বহুদিন ধরে তারা অপেক্ষা করছেন। একইসঙ্গে তালিকা নিয়ে তাদের দাবি, সেখানেও কারচুপি হয়েছে। ভুয়া নাম সেখানে ঢোকানো হয়েছে। সে জন্যই নেতা-মন্ত্রীদের নামের ছড়াছড়ি। ওই নামগুলির যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করার দাবিও উঠেছে কোনো কোনো মহল থেকে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)