1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য মোবাইল চার্জিং স্টেশন

৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে হলে চার্জ দেওয়ার স্টেশনের সংখ্যা বাড়াতে হবে৷ জার্মানিতে এই কাজটি ধীরে এগোচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4Zjo6
বার্লিনে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ দেওয়ার একটি জায়গা৷
ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে হলে চার্জ দেওয়ার স্টেশনের সংখ্যা বাড়াতে হবে৷ ছবি: Matthias Koch/IMAGO

এই অবস্থায় এমই এনার্জি নামে বার্লিনের একটি স্টার্টআপ বিশ্বের প্রথম অফ-গ্রিড ফাস্ট চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছে, যা নিজেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে৷ ফলে বিদ্যুতের জন্য গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রয়োজন হয় না৷

এমই এনার্জির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইনেস আডলার একসময় ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন বানাতেন৷ এখন তিনি ই-মোবিলিটি খাত এগিয়ে নিতে তার জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ছয় টন ওজনের একটি বাক্সের মধ্যে একটা জেনারেটর থাকে, যেটা ইথানল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে৷

প্রযুক্তিটির মেধাসত্ত্ব নেওয়া হয়েছে৷ চাহিদা অনেক৷ আগামী বছর উৎপাদন দ্বিগুন করা হবে৷

ই-কারের ব্যবহার বাড়ানোর অন্যতম পূর্বশর্ত, চার্জ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত স্টেশন থাকা৷

এ বছরের শেষ নাগাদ জার্মানির রাস্তায় প্রায় ১৫ লাখ ই-কার চলবে৷ কিন্তু চার্জিং পয়েন্ট আছে মাত্র ৯০ হাজারটি৷ ২০৩০ সালের মধ্যে ই-কারের সংখ্যা ১০ গুন বাড়ানো আর চার্জিং পয়েন্টের সংখ্যা ১০ লাখ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে৷

তবে বাস্তবতা হয়ত ভিন্ন৷

বিশ্বের প্রথম অফ-গ্রিড ফাস্ট চার্জিং স্টেশন

পিডাব্লিউসি জার্মানির ইলেকট্রোমোবিলিটি প্রধান হাইকো সাইটস বলছেন, ‘‘ভালো খবর হচ্ছে, আমাদের দেড় কোটির লক্ষ্য পূরণ হবে না৷ তাই আমাদের ১০ লাখ চার্জিং স্টেশনেরও প্রয়োজন হবে না- যদিও দেড় কোটি গাড়ির জন্য আসলে এতগুলো স্টেশনের প্রয়োজন ছিল না৷ আমরা হিসেব করে দেখেছি, এক কোটি ২০ লাখ গাড়ির জন্য প্রায় চার লাখ চার্জিং স্টেশন লাগবে৷''

অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ চার লাখ চার্জিং স্টেশন প্রয়োজন হবে৷ তার মানে প্রতি সপ্তাহে গ্রিডে এক হাজার চার্জিং স্টেশন যুক্ত করতে হবে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত গতি খুব ধীর৷ কারণ পরিকল্পনাটি জটিল৷ আর সময়ও অনেক লাগছে৷ অনেক ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কও শক্তিশালী করতে হচ্ছে৷

এসবের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন- যা আরেকটি সমস্যা৷

চার্জিং পয়েন্ট সাধারণত শহর এলাকা বা মহাসড়কের পাশে বসানো হচ্ছে৷

জনসংখ্যা কম এমন জায়গায় চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা খুব কম৷ ‘‘কারণ, বিনিয়োগকারীরা সেখানেই বিনিয়োগ করেন যেখানে চার্জিং অবকাঠামো বসিয়ে সবচেয়ে বেশি লাভ করা যায়৷ জার্মানি হোক বা অন্য কোথাও, একটি দেশের সব জায়গায় সমান সংখ্যায় ইলেকট্রিক গাড়ি চলে না৷ তাই আমরা শুধু শহর এলাকাতেই বিনিয়োগ দেখছি,'' বলেন পিডাব্লিউসি জার্মানির ইলেকট্রোমোবিলিটি প্রধান সাইটস৷

স্টার্টআপের জন্য এটি একটি সুযোগ৷ শুরুতে তাদের ক্রেতাদের খুব বেশি বিনিয়োগ করতে হবে না৷

এমই এনার্জির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার সল বলেন, ‘‘এমন জায়গা আপনি সবসময় পাবেন যেখানে চার্জিং অবকাঠামো বসানো লাভজনক হবে না৷ আমাদের সুবিধা হচ্ছে, আমাদের স্টেশনগুলো ভাড়া দেয়া যায়৷ ক্রেতারা দুই, পাঁচ বা সাত বছরের জন্য ব্যবহার করতে পারেন৷ এরপর ফেরত দিতে পারেন৷ বা অন্য স্থানে নিয়ে যেতে পারেন৷''

অন্য আরও অনেক পরিকল্পনা আছে৷

চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে চার্জপূর্ণ ব্যাটারি লাগানোর পরিকল্পনা করছে চীনা গাড়ি নির্মাতা নিও৷

হাইকো সাইটস বলেন, ‘‘এসব পদ্ধতি কেবেল দিয়ে চার্জ করার বিকল্প নয়৷ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি থাকার বিষয়টি ভালো৷ আমরা ভবিষ্যতের জন্য ইন্ডাকশনের কথাও বলছি৷ এতে আরও সময় লাগবে, তবে শুধু কেবেল দিয়ে চার্জ করার বাইরেও আরও কিছু থাকবে৷’’

প্রযুক্তিগতভাবে অনেককিছুই সম্ভব, কিন্তু কত তাড়াতাড়ি? এবং পরিবেশের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে?

ই-মোবিলিটি খাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত পরিবেশবান্ধব করতে হবে৷ কারণ বর্তমানে মাত্র অর্ধেক বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে তৈরি হচ্ছে৷

মারিয়ন হ্যুটার/জেডএইচ