1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমেঠি-রায়বেরিলিতে রাহুল-প্রিয়াংকাই, বললেন আজয় রাই

গৌতম হোড় বারাণসী | স্যমন্তক ঘোষ বারাণসী
১৬ এপ্রিল ২০২৪

উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই মনে করেন, আমেঠি রায়বেরিলিতে রাহুল ও প্রিয়াংকাই দলের প্রার্থী হবেন।

https://p.dw.com/p/4epAq
ডিডাব্লিউকে সাক্ষা৪ৎকার দিচ্ছেন বারাণসীর প্রার্থী ও উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই বলছেন, রাহুল, প্রিয়ংকা আমেঠি, রায়বেরিলি থেকেই লড়বেন। ছবি: Goutam Hore/DW

উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি ও বারাণসী লোকসভার প্রার্থী অজয় রাই জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন, নিশ্চিতভাবেই কংগ্রেস কর্মীদের দাবি মেনে রাহুল ও প্রিয়াংকা আমেঠি ও রায়বেরিলি থেকেই লড়বেন। ডিডাব্লিউকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অজয় রাই বলেছেন, ‘'আমেঠি ও রায়বেরিলি থেকে গান্ধী পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে লড়ছেন। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী আমেঠি ও রায়বেরিলিতে লড়েছেন। এমন জায়গা কেন ছেড়ে দেবে গান্ধী পরিবার?''

আমেঠি ও রায়বেরিলি কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে সাসপেন্স বজায় রেখেছে কংগ্রেস। আগামী ২০ মে এখানে্ ভোট, তা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত তারা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। কংগ্রেস নেতা, মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, যথাসময়ে প্রার্থীর নাম জানানো হবে। বিজেপি অবশ্য এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিয়েছে। গত দুইবারের মতো আমেঠিু থেকে লড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

রাহুল গান্ধী গতবারের মতো এবারেও কেরালার ওয়ানাড় কেন্দ্র থেকে লড়বেন বলে কংগ্রেস ঘোষণা করেছে। রাহুল ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ওয়ানাড় তার পরিবারের অংশ। ন্যায় যাত্রায় বেরিয়ে তিনি আমেঠিতেও এসেছিলেন। কিন্তু সাংসদ থাকার সময় এবং গত কয়েক বছরে তাঁকে আমেঠিতে বিশেষ দেখা যায়নি।

অজয় রাই বলেছেন, ‘'এটা ঠিক, নানান কাজে ব্যস্ত থাকায় রাহুল খুব বেশি সময় আসতে পারেনি বা সময় দিতে পারেননি। কিন্তু আমেঠিতে যে উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তা রাহুলই করেছেন। স্মৃতি কিছুই করেননি।‘'

তবে আমেঠি ও রায়বেরিলিতে রাহুল ও প্রিয়াংকার প্রার্থী হওয়ার পক্ষে অজয় রাইয়ের সবচেয়ে বড় যুক্তি হলো, এই দুই কেন্দ্র গান্ধী পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই সেটা ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। তিনি বারাণসীর প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ‘'এই দেখুন না, আমি বারাণসীতে বড় হয়েছি, এখানে থেকেছি, তাই এখান থেকেই ভোটে লড়ি। যাই হোক না কেন, আমি বারাণসী ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারি না। এটা আমার জায়গা।‘' সেই একই যুক্তিতে গান্ধী পরিবারেরও আমেঠি ও রায়বেরিলিতে দাঁড়ানো উচিত বলে তিনি মনে করেন।

২০১৯ সালেই সোনিয়া গান্ধী জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আর লোকসভা ভোটে দাঁড়াবেন না। সেটাই হয়েছে। সোনিয়া রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে রায়বেরিলিতে মায়ের নির্বাচনী কাজ দেখে এসেছেন প্রিয়াংকা। এলাকার মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তাকে মেয়েরা পরিবারের মানুষের মতোই দেখে। ফলে রাজনীতিতে নামার পর এবং উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে দীর্ঘদিন থাকার পর সোনিয়ার মেয়েই রায়বেরিলিতে প্রার্থী হবেন বলে কংগ্রেস কর্মীদের আশা। কিন্তু তার নামঘোষণা না হওয়ায় এবং মাঝখানে রবার্ট বাঢরার নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হওয়ার পর বিভ্রান্তি দেখা দেয়।

অজয় রাই অবশ্য বলছেন, রাহুল ও প্রিয়াংকাকেই প্রার্থী হিসাবে চান কংগ্রেস কর্মীরা এবং তারাও নিশ্চিতভাবে এই দাবি মানবেন। কিন্তু গতবার তো রাহুল আমেঠিতে হেরে গেছিলেন। তারপর তিনি নির্বাচনকেন্দ্র হিসাবে ওয়ানাড়ের উপরই মনোযোগ দিয়েছিলেন। স্মৃতি সেখানে বারবার গেছেন। বাড়ি কিনে বসবাস করেছেন। আ্মেঠির মানুষের রাহুল সম্পর্কে মনে হয়েছে, তোমার দেখা নাই। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়ালেও তিনি জিতবেন কি?

অজয় রাইয়ের দাবি, ‘'আপনি মানুষের সঙ্গে একটু বেশিক্ষণ কথা বলুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এত বেড়ে গেছে আর যূবকরা চাকরি পাচ্ছেন না, এই দুইটি বিষয় নিয়ে তারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। এই ক্ষোভের প্রতিফলন  গোটা ভারতের ভোটে পড়বেই। প্রধানমন্ত্রী গতবার ১৩ টাকা কেজিতে চিনি দেবেন বলেছিলেন, তার কী হলো? এটা নিয়েও মানুষ কথা বলছেন।‘' ফলে এবার আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর জিততে কোনো অসুবিধা নেই বলে তার দাবি। 

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো